কাঁচেরকোলে পেঁয়াজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক [] শৈলকুপার বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার নিচে। সন্তোষজনক দাম পেয়ে সন্তুষ্ট কৃষকরা। এজন্য পেঁয়াজ চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে। কাঁচেরকোল ইউনিয়নের কচুয়া, ধুলিয়াপাড়া, খন্দকবাড়িয়া, উত্তর মির্জাপুর, ধর্মপাড়া, বৃত্তিদেবী রাজনগর, হামদামপুর, জাঙ্গালিয়া, বোয়ালিয়া ও কাঁচেরকোল কলেজ মাঠে পেঁয়াজ চাষের জন্য খ্যাত।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলার ছয় উপজেলায় এ বছর এক হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে শৈলকুপায়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ ৮৫৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এরই মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাকি জমিতে রোপণের কাজ শেষ হবে। আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে।

কাঁচেরকোল ইউনিয়নের কলেজ মাঠ ও খন্দকবাড়িয়া গ্রামে পেঁয়াজ চাষের জন্য খ্যাত। ওই গ্রামে মাঠের পর মাঠ কৃষক পেঁয়াজ রোপণ করছেন।
খন্দকবাড়িয়া গ্রামের কৃষক হাশেম আলী বলেন, ‘আমি এ বছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। গত বছর মাত্র ২৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছিলাম। আশা করি, ফলন ভালো হলে প্রায় ৪০ মণ পেঁয়াজ পাবো।’
জাঙ্গালিয়া গ্রামের মোবারক মিয়া বলেন, ‘আমি প্রতিবছর পেঁয়াজের চাষ করি। এবছর দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করি। বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ৬০-৬৫ মণ পেঁয়াজ পাবো। আশা করি, এতে খরচ বাদ দিয়ে বেশ ভালোই লাভ হবে।’

একই এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, গত বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেছিলাম এবং বছর শেষে একটু ভালো দাম পেয়েছি। তাই আমি এ বছর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এবার কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে মুখে হাসি ফুটেছে। এ কারণে গত বছরের চেয়ে এ বছর পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।
Social Link